সরকার দাবি করে যে, অর্থনীতির ধমনী থেকে দূষিত রক্ত বার করে দিয়ে তার মধ্যে তাজা, বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চার করার জন্য নোট বাতিলের পদক্ষেপ জরুরি হয়ে উঠেছিল। সরকার ধমনী থেকে ৮৬ শতাংশ পুরনো রক্ত বার করে নিয়েছে – আর সে বলছে যে নতুন রক্তের জোগাড় এখনও হয়নি আর দেশকে তাই অপেক্ষা করতে হবে ! ফলে গোটা দেশকে এখন প্রয়োজনীয় 'রক্তের' (নগদ টাকা) মাত্র ১৪ শতাংশের ওপর কোনরকমে টিকে থাকতে হচ্ছে।
আর একটা উপমার সাহায্যে বলা যায়, প্রধানমন্ত্রী বলছেন যে, পুকুরটা দূষিত হয়ে গেছে আর তাই পুকুরটার সব জল নিকাশ করতে হবে। কিন্তু নতুন পুকুর এখনও তৈরি নয় আর তাই মাছগুলো (অর্থনীতি, সাধারণ জনগণ) নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য খাবি খাচ্ছে আর মারা যাচ্ছে !
সর্বোপরি, জনগণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে প্রশ্নটা তুলে ধরছেন তা হল : সরকার এবং আরবিআই অত ঘনঘন নিয়মনীতিগুলো পাল্টাচ্ছিল কেন? সরকার যদি তার পরিকল্পনাকে ছমাস আগেই ঠিক করে থাকে তবে যে সমস্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে সেগুলো সে আগে থেকেই অনুমান করতে পারত এবং সেগুলো কাটানোর জন্য নিয়মগুলোকেও সেই অনুযায়ী নির্ধারণ করতে পারত?